বড়াইগ্রামের শরিষাহাট গ্রামের অসুস্থ শিশু ফাতেমা খাতুনের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। দৈনিক যুগান্তরের অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আমেরিকা প্রবাসী আর্থিক সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে তার অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। শিশু ফাতেমা উপজেলার শরিষাহাট গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
শিশু ফাতেমা জন্মগতভাবেই ‘অক্সিপিটাল মেনিংগো এনকেফালোসেল’ রোগে আক্রান্ত। তার পিতা প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করলেও শিশুটি সুস্থ হয়নি। পরে চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচাতে দ্রুত অপারেশন করে মাথার পেছনের টিউমার সদৃশ বস্তুটি অপসারণের পরামর্শ দেন। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজনীয় ৫ লাখ টাকা নন এমপিও কলেজের কর্মচারী জহুরুলের পক্ষে জোগানো সম্ভব হচ্ছিল না। এ ব্যাপারে গত ৩ অক্টোবর যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে ‘আমার বুকের মানিককে আপনারা বাঁচান’ শিরোনামে ছবিসহ একটি সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সবার নজর কাড়ে।
এরপর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক সেবা ফাউন্ডেশন ও ইউএনও মারিয়াম খাতুন শিশুটির পাশে দাঁড়ান। সবশেষে একজন আমেরিকা প্রবাসী তার চিকিৎসায় যাবতীয় ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রেইন, নার্ভ, স্ট্রোক ও স্পাইন বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. নেফাউর রহমান সুইটের নেতৃত্বে চিকিৎসকরদের একটি টিম শিশুটির অপারেশন করেন।
বুধবার ডা. নেফাউর রহমান সুইট জানান, শিশুটির অপারেশন সফল হয়েছে। বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে ইনশাল্লাহ।
শিশুটির বাবার জহুরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের চিকিৎসা করানোর মত কোনো অর্থ আমার ছিল না। যিনি পুরো টাকা দিয়ে অপারেশনের ব্যবস্থা করেছেন আল্লাহ যেন তার যোগ্য প্রতিদান দেন। এছাড়াও সংবাদটি প্রকাশ করায় যুগান্তর পরিবারসহ যারা নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।